ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্তুগাল। দেশব্যাপী বিভিন্ন বনাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লেরিয়া, ফারো, আভেইরো, সেতুবাল, গোয়ারদা অঞ্চলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, অন্তত ২৭টি অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে চার হাজারের বেশি দমকলকর্মী, ৮০০টি অত্যাধুনিক যানবাহন এবং ৩০টি বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। 

দাবানল থেকে রক্ষায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৯০ হেক্টর জমি সম্পূর্ণভাবে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। পশু এবং শত শত বাড়িঘর ও যানবাহন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পর্তুগালের প্রধান হাইওয়েসহ ওই অঞ্চলগুলোতে যোগাযোগের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এক নারী জানান, গত তিন দিন ধরে আমরা খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। আগুনের তীব্রতায় শরীর থেকে চোখ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম, এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারছি না। দাবানলে তিনি তার বাড়িঘর, গবাদি পশু সবই হারিয়েছেন।

দাবানলে শেষ খবর পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৭০ জন দমকলকর্মী। গত সোমবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিপর্যস্ত পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাদের বিদেশ সফর বাতিল করেছেন।

পর্তুগালে গত মঙ্গলবার এলাকাভেদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৬ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।

জেডএস