সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে দূতাবাসের সব কর্মকর্তার, কর্মচারীসহ বাংলাদেশ বিমান এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবনের ওপর প্রমান্যচিত্র ‘এক আলোর পথযাত্রী-শেখ কামাল’ প্রদর্শন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সুধীজন বাংলাদেশের উন্নয়নে তার অবদানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের সুদূরপ্রসারী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তার প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিকনির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত আবু জাফর তার বক্তব্যে বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বাংলাদেশের সব স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য।

শেখ কামালের উচ্চ চিন্তার কিন্তু সাধারণ জীবনযাপনের আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পরে তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য দোয়া করা হয়।

এসএসএইচ