কানাডা প্রবাসী নুরুল ইসলাম

কানাডা প্রবাসী নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার সোনারায় ইউনিয়নের সাবেকপাড়া গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ গ্রামের অসহায় ও বেকার যুবকদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। এছাড়াও দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন সেবামূলক কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

সুদূর কানাডায় প্রবাসী জীবন যাপন করলেও মাতৃভূমির প্রতি তার রয়েছে অকৃত্রিম ভালোবাসা। এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, কানাডায় প্রবাস জীবন যাপন করলেও হৃদয়ে থাকে বাংলাদেশ। নিজ গ্রামের অসহায় ও দুঃখী মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এককভাবে নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেছি।

তিনি আরও বলেন, মানুষ মানুষের জন্য এ চেতনা থেকেই সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যে এগিয়ে যাচ্ছি। যাদের থাকার ঘর নেই, তাদের নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছি। এ পর্যন্ত মোট ৪ জন গৃহহীনকে নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

গ্রামের ছোট ছেলে মেয়ে ও বয়স্ক মহিলাদের ইসলামিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর নিজস্ব তহবিল থেকে বিল্ডিং তৈরি করে মক্তব স্থাপন করেছি। মক্তবকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একজন ম্যানেজার এবং একজন মহিলা ও একজন পুরুষ মাওলানা নিয়োগ দিয়েছি। সেখানে সকালে ছোট ছোট শিশু কিশোরদের ও বিকালে বয়স্ক মহিলারা শিক্ষা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ছোট ছোট শিশু কিশোরদের নাস্তার ব্যবস্থা করেছি,  যাতে করে ছেলে মেয়েরা লেখা পড়ায় উৎসাহিত হয়। 

নিজের মা-বাবার নাম অনুসারে রইছ উদ্দিন শাহ বাবু এবং লাইলী খাতুন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালু করেন বলে জানান তিনি। এ মাদরাসায় একজন হাফেজ শিক্ষকসহ মোট ১৫ জন এতিম ও অসহায় বাচ্চা প্রতিপালিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে জানান এই কানাডা প্রবাসী। ভবিষ্যতেও তার এমন সেবামূলক কাজ অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নুরুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে বগুড়ার সোনারায় ইউনিয়নের সাবেকপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাতার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। 

এমএ