পর্তুগালে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছে। এ কারণে দেশটি বিদ্যমান লকডাউন কিছুটা শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার পরিকল্পনা করছে। 

এদিকে, শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত ও গতিশীল রাখতে পর্তুগাল সরকার ২০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। তবে এর আওতায় কেবল পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠানগুলো (আই পি এস এস) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মহামারি প্রেক্ষাপটে পর্তুগাল সরকারের একটি বিধিমালা কার্যকর রয়েছে। তবে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ফেব্রুয়ারির শেষে বিধিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোতে নতুন বিধিমালা পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, মন্ত্রণালয় কোভিড ১৯-এর জন্য ল্যাবরেটরি স্ক্রিনিং প্রোগ্রামেরও গাইডলাইন পাঠিয়েছে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশের শিক্ষার্থীরা ল্যাবরেটরি স্ক্রিনিংয়ের আওতায় থাকছে। প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় সার্কেল, প্রি-স্কুল ও ডে-কেয়ার সেন্টারের শিশুদের এ প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

পর্তুগালে বিদ্যমান লকডাউন আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত থাকছে। মেয়াদ শেষে পরবর্তী লকডাউনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে করোনা মহামারির জন্য গঠিত টেকনিক্যাল টিম একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। মন্ত্রিসভা ও পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনিও কস্তা তা প্রকাশ্যে আনবেন।

আরএইচ