সিউলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কোরিয়ান ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বুধবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা করেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। পরে রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিজ্ঞাপন
পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত; পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ; রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধে তার মহান অবদান এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে তার কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাকে শান্তির দূত হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জাতীয় শিশু দিবস সম্পর্কে আলোচনায় শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে অভিভাবকদের গুরু দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
বিজ্ঞাপন
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বিশ্বব্যাপী শান্তি ও মানবতার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ বা ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের সাফল্য’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী কোরিয়ান শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মনোনীত কোরিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘হবি কোরিয়া’র আট জন ছাত্রছাত্রীর হাতেও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ১৫ মার্চ সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী সেল ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু : দি সোল অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন প্রধান আলোচক ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এসএসএইচ/ওএফ