ঢাকা পোস্টের কানাডা প্রতিনিধি সাংবাদিক আহসান রাজীব বুলবুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ-এর কুলখানি এবং দোয়া মাহফিল কানাডার ক্যালগেরির আকরাম জুম্মা মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে। 

এ সময় বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরীসহ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রচুর সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে মরহুমের বিদেহী আত্মার ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন শেখ ইউসুফ তাহরিয়া।

উল্লেখ্য মোহাম্মদ সানাউল্লাহ গত ১৪ মার্চ ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রাজবাড়ী ভবানীপুর গোরস্থানে তার স্ত্রীর পাশে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, বাঙালি জাতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল। দেশের জন্য তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি , আল্লাহ তার বেহেশত নসিব করুন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পাকিস্তান আমলে ‘পাক যমহুরিয়াত’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তিনি দৈনিক পূর্বপাকিস্তান পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে তিনি ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। এরপর দৈনিক বাংলা, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সমকাল, বিডি নিউজ ২৪ ও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত বছরের ৩০ মে তৃণমূলে সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে গুণী সাংবাদিক হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। 

সানাউল্লাহ রাজবাড়ী জেলার রেড ক্রিসেন্ট, শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ছাত্রজীবনে গণঅভ্যুত্থান, ছয় দফা ও অসহযোগ আন্দোলনসহ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিকনির্দেশনায় নিয়ে দেশের প্রয়োজনে সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। 

এনএফ