অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এ আলোচনা সভা হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী সনির্মাল্য তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটে অংশগ্রহণকারী অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, মো. শফিকুল আলম, এমদাদ হক, ডা. লাভলী রহমান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, অপু সারোয়ার, মাসহুদা জামান ছবি, ড. সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম রুবেল, আলী আশরাফ হিমেল, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিদেশ কবিরাজ, সাজ্জাদ সিদ্দিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন লেখক ও আবৃত্তি শিল্পী আরিফুর রহমান এবং শাহানা চৌধুরী। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টে নিহত সব শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবনোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

আলোচনা সভার আগে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ হতো না, আমরাও সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে আসতে পারতাম না। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেন আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত না করি। কেবল কেক কেটে নয়, আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার মাধ্যমে তার জন্মদিন পালন করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রবাসে বসে আমাদের এমন কিছু বলা বা করা উচিত হবে না যাতে শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। ব্যক্তিজীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না, এই হিসেব না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়, পোয়েট অব পলিটিক্স-এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন ‘ফিলোসফার অব পলিটিক্স’ও।

/এসএসএইচ/