বর্ণিল উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করেছে অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। রোববার (২৮ মে) দূতাবাস প্রাঙ্গণে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এটি উদযাপিত হয়।

দূতাবাসের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, পেশাজীবী, ছাত্র ও সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলা বর্ষবরণ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। সারা বছরের ক্লেশ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে উঠেন। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য নতুন বছর কল্যাণকর হোক, তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদাত্ত আহ্বান জানান।  

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব। সাংস্কৃতিক উৎসবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রবাসীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলির পসরা সাজিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন পদের বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।  

পাজামা-পাঞ্জাবি, লাল-সাদা বাসন্তী রঙের শাড়িতে এদিন ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন হয়ে উঠে উৎসবমুখর ও রঙিন। দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিরূপ। বাংলা বর্ষবরণের এই উৎসব ইউরোপের বুকে যেন আনন্দমুখর এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ দিনটি কাটান সম্পূর্ণ দেশীয় আমেজে।

এমএ