সিউলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন
সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন হয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সীমিত পরিসরে উদযাপন হয়। অনুষ্ঠানটি ছিল তিন ভাগে বিভক্ত।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে বিশেষ মোনাজাত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঝং সে ঘিয়ুনের ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
উন্মুক্ত আলোচনায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ, নির্যাতিতা দুই লাখ মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জিত অসাধারণ সাফল্যসমূহ এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন।
পরে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপলস হিরো’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। বইটি দূতাবাসের উদ্যোগে কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। কোরিয়ার পাঠকরা বইটি স্থানীয় বইয়ের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দূতাবাস স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে (কোরিয়া হেরাল্ড এবং কোরিয়া টাইমস) বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশটি জুম প্ল্যাটফর্মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংবুক ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর ঢাকার ‘স্পন্দন ড্যান্স একাডেমি’-এর শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্যানুষ্ঠান ‘হাজার বছরের বাঙালি’ পরিবেশিত হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে ‘সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ : আপনার ভাবনা’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা সভা রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং তাদের প্রত্যাশা নিয়ে নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও ধারণা তুলে ধরেন। শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাফল্যের পথে বাংলাদেশ তার যাত্রা অব্যাহত রাখবে- এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অধিবেশনটি শেষ হয়।
২৭ মার্চ সন্ধ্যায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমির ‘২৮৮ দিন’ শীর্ষক একটি মঞ্চ নাটক প্রদর্শন করা হবে। জাতির পিতার কারাগারে থাকা নিয়ে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে।
এমএআর/