সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন মানুষের মাঝে যথাযথভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একথা জানান।

ট্রুডো বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সরবরাহ চেইনের অখণ্ডতা রক্ষায় এর (সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভ্যাকসিন বিতরণ) বিকল্প নেই। আমরা সবসময় সকল সম্ভাব্য হুমকি পর্যালোচনা করছি।

এদিকে ফাইজারের পর এবার দেশজুড়ে মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করেছে ফেডএক্স করপোরেশনের কানাডাভিত্তিক সংস্থা ইনোমার স্ট্র্যাটেজিস। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে কানাডায় স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যদের মধ্যে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়।

তবে এর সরবরাহ সীমিত থাকায় সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এখন মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হওয়ায় দেশটির বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে ট্রুডো সরকার।

মডার্নার এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৯৪.১ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়ছিল। ভ্যাকসিনটি মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। এটি ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। ফলে বিতরণ করা যাবে সহজেই।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক বিবৃতিতে দেশটি সরকার জানিয়েছে, মডার্নার ভ্যাকসিন নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও যথাযথ মানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিন নিলে কোনো সমস্যা হবে না বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে, তাই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আগে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ ৪২ হাজার মানুষ, মারা গেছেন ১৪ হাজার ৮০০ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

উল্লেখ্য, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে এই ভারইরাস প্রতিরোধে দেশটির সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটির নাগরিকদের মাঝে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সবাই এই ভ্যাকসিন পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

টিএম