মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এমবিএফএ)। সেই সঙ্গে ফোরামের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) কুয়ালালামপুরের দারুল এহসান ক্লাবে এমবিএফএ’র সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নূরুল মাওলার পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের কার্যপরিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংগঠনের নেতারা। সভায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ও সহ সভাপতি আহমেদ সামি, সানার নাম ঘোষণার পাশাপাশি সংগঠনের নবনিযুক্ত সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। এসময় নতুন কার্যকরী সদস্যদের স্বাগত জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের নীতিনির্ধারকরা প্রবাসের মাটিতে সবাইকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার আহ্বান জানান।
বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সংগঠনটির সদস্যদের পারিবারিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে নেপাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সদস্য আক্কু চৌধুরী।
সভায় স্বাধীনতার তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. আবুল বাশার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শংকর চন্দ্র পোদ্দার ও নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি আহমেদ সামি, সানা।
বক্তারা বলেন, ৫০ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অর্জন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত হয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রচিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। এই ইতিহাস ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আন্দোলন ও সংগ্রামের গৌরবগাথা গণবীরত্বের ইতিহাস।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় এক মহাসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে জাতি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের মতো বিভিন্ন দেশেও উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তী বাঙালি জাতির জন্য এক আনন্দঘন গৌরবের অনুভূতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে মহিমান্বিত করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে দেশ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসএসএইচ