ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের আয়োজনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার দিবসটি পালন উপলক্ষে দূতাবাসের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

পরে বেগম মুজিবের স্মরণে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি পরিচালনা করেন দূতালয় প্রধান প্রথম সচিব আফজাল মেহদূত আদনান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. এ কে আতিকুল হক রাষ্ট্রপতির বাণী ও দূতাবাসের প্রথম সচিব (কনস্যুলার) নাসির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বানী পাঠ করেন। আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (ইকোনমিক) রাশেদুল আমীন।

হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নেপথ্যে সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

পাশাপাশি রাজনীতির কঠিন মুহূর্তগুলোতে বঙ্গবন্ধুর সাহসী অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে জাতিকে দেওয়া দিক নির্দেশনামূলক ভাষণের নেপথ্যেও বেগম মুজিবের পরামর্শ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামের নেপথ্যে বেগম মুজিবের ঐতিহাসিক ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্মিত একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এমএসএ