দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সাঈদুল হককে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে তিনি বন্দিদশা থেকে আহত অবস্থায় পালিয়ে বেঁচে ফিরেছেন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় জোহানসবার্গের রেন্ডফন্টিনে নিজ দোকানে ঢুকে অপহরণকারী তিন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক সাঈদুল হককে হাতে কুপিয়ে ও মাথায়  আঘাত করে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর জোহানসবার্গের সুয়েটোর একটি বাড়ির দেয়াল টপকে পাশের বাসার লোকজনের সহযোগিতায় পালিয়ে আসেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার বাড়ি ফেনী জেলায়।

এর আগে ২৯ ও ৩০ মার্চ সকালে দুইবার সাঈদুল হককে বাসা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।

ওই ঘটনায় সাঈদুল হক স্থানীয় ক্রুগারডর্প পুলিশ স্টেশনে মামলা করেছেন। (মামলা নাম্বার Krugersdorp ref nr CAS 719/3/2021)।  মামলা করার চারদিনের মাথায় তিনি অপহরণের শিকার হন।

তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনাটি সাঈদুল হক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিলেন। সেইসঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আহ্বান জানিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তিনি।

অপহরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে সাঈদুল হকের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি ২৯ ও ৩০ মার্চ তুলে নেওয়ার ঘটনায় বলেছিলেন, আমার ১১ বছরের প্রবাস জীবনে কারও সঙ্গে রাজনৈতিক বা টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা তো দূরের কথা, কথা কাটাকাটিও হয়নি। বুঝতে পারছি না কারা আমার সঙ্গে এমনটা করতে পারে।

যুবলীগ নেতা সাইদুল হককে অপহরণ এবং উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. লুৎফর রহমান রূপন বলেন, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সে তার সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার জন্য বেঁচে ফিরেছে।

তিনি প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, সবাইকে সচেতন থেকে এ ধরনের ঘটনাগুলোর পেছনে যে বা যারা কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। দূতাবাসের কাছে এ ধরনের লোকের তথ্য দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এসএসএইচ