ইসলামাবাদে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে। শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস  এ আয়োজন করে।

উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও রঙ্গিন বেলুনে সুসজ্জিত করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এতে অংশগ্রহণ করেন। 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।

ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সরকারের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার ছোটো ও অনেক আদরের। রাসেল নামটি শুনলেই যে ছবিটি আসে তা হলো হাস্যেজ্বল, প্রাণচঞ্চল, দুরন্ত ও হাসি আনন্দে ভরপুর এক ছোট্ট শিশু। একারণেই, জন্মবার্ষিকীর এ বছরের প্রতিপাদ্য ’শেখ রাসেল, দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ যথার্থ হয়েছে। 
 
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবনের দীর্ঘসময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে বিধায় শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর-যত্ন থেকে বঞ্চিত ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালে শেখ রাসেল তার মা, দুই বোন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। 

হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাসের এক নির্মম, জঘন্য ও বিভীষিকাময় কালরাতে স্বাধীনতা বিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের হাতে বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্য শহীদ হন। সেদিন ছোট্ট রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। কিন্তু কালের পরিক্রমায় শহীদ শেখ রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক হিসেবে বেঁচে আছে সকল মানুষের কাছে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পবের্র শুরুতে হাইকমিশনার সব শিশু-কিশোরদের নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আনন্দ-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে শেখ রাসেলের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। 

এমএ/এমএ