ভিয়েনায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, শেখ রাসেল ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার না হলে আজ বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো আরও একজন দূরদর্শী, মানবিক ও আদর্শ জনমানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব পেত।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, শিশু বয়সেই শহীদ শেখ রাসেলের অসাধারণ মানবিক ও নেতৃত্বের গুণাবলি ফুটে উঠেছিল।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ আমরা তার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর গুণাবলি দেখতে পেতাম। তিনি আরও বলেন, ঘাতকরা শহীদ শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল মানবিক ও আদর্শিক সত্তা হিসেবে বেঁচে আছেন সবার মাঝে। আজ সবার কাছে শহীদ শেখ রাসেল একটি ভালোবাসার নাম।
রাষ্ট্রদূত ও অন্যরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কেটে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এনআই/এসএসএইচ