করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নিজস্ব ভ্যাকসিন ‘কোভিজেনিক্স ভ্যাক্স ০০১’ পরীক্ষামূলকভাবে আজ (১৬ এপ্রিল) মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার গবেষক ড. জন লিউইস এই ভ্যাকসিনের আবিষ্কারক। এন্টস ফার্মাসিউটিক্যালসের এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজই কোভিডের বিপরীতে প্রয়োজনীয় এন্টিবডি তৈরি করে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। মানবদেহে এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ডাটা পাওয়া যাবে বলে ভ্যাকসিন উদ্ভাবক কোম্পানি আশা করছে।

অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, অন্টারিও, মন্টিয়ল এবং আলবার্টায় ক্রমবর্ধমান হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন এই নতুন শনাক্তের সংখ্যা কোনো কোনো প্রদেশে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতেও চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতবছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি কিছু সেবা চালু রয়েছে। কানাডা সরকার দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া সকল নাগরিক যেন দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসে সে ব্যাপারেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৭শ ১৬ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৫শ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ জন। 

এইচকে