গেইমের বাইরে থাকা মানুষদের কাছে ‘গেইমের’ বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি ও প্রকাশ রায়। তথ্যচিত্রের নাম দিয়েছেন ‘দ্য গেইম’। গেইমের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলতে তারা কাজ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। একইসঙ্গে কাজ করেছেন ‘গেইম মেরে’ ফ্রান্সে এসে কাগজহীন হয়ে যাওয়া একাধিক অভিবাসীকে নিয়ে। গেইমের যাত্রাপথের নির্মম কাহিনি তুলে ধরতে সংযোজন করেছেন সাগরে ভেসে আসা সেইসব ভয়ংকর ‘বুটের’ ভিডিও। সবমিলিয়ে গেইমের শিকার একজন অভিবাসীর বাস্তব জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে তথ্যচিত্রে।

তথ্যচিত্রটি প্যারিসের একটি সিনেমা হলে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয়। এতে ফ্রান্স সরকারের অভিবাসী বিষয়ক বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।

দ্য গেইম প্রদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দর্শকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি, প্রকাশ রায় ও অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, একজন দর্শক হিসেবে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেছি। কিন্তু যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা খুবই নির্মম আর হৃদয়বিদারক। আমরা আশা করব, এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা থেকে দেশের যুবকেরা বিরত থাকবে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে। তারপরও একটি শ্রেণি এমন ভয়ংকর পথ বেছে নিচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি বলেন, এমন কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসে ইউরোপে এরা আবার অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। এতে পরবর্তী জীবনটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে। তিনি এমন অভিবাসীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট মহলকে সদয় হওয়ার অনুরোধ জানান।

নির্মাতা প্রকাশ রায় বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণের পর সেটি প্যারিসে প্রদর্শন করা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেটি প্যারিসে প্রদর্শন করতে এগিয়ে এসেছেন আয়েবা মহাসচিব কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাজী এনায়েত উল্লাহ। এজন্য তিনি নির্মাতাদের পক্ষ থেকে কাজী এনায়েত উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নৈশভোজ। এসময় অংশগ্রহণকারীরা চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।

এসএসএইচ