পর্তুগালে প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। পর্তুগালের উত্তরের জেলা ভিয়েনা কাস্টেলোর পারেদেস দে কোরা নামক অঞ্চলে স্প্যানিশ ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি জেন্ডাল এই কারখানা নির্মাণ করছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে কারখানাটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারবে।

গত ২২ এপ্রিল পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা নির্মাণাধীন ভ্যাকসিন কারখানার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মহামারিটি প্রমাণ করেছে যে, ভ্যাকসিনের জন্য সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো উৎপাদন ক্ষমতা। ইউরোপের ভ্যাকসিন তৈরির সীমিত ক্ষমতা রয়েছে, যা বিশাল একটি দুর্বলতা।

তিনি আরও বলেন, এটি সবার জন্য এক বিরাট ধাক্কা, এটা ভাবা যে আমরা সবচেয়ে উন্নত মহাদেশে বাস করি। যখন আমরা করোনার মতো ভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়ি, তখন আমাদের জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে বাধা তৈরি করার ক্ষমতা নেই।

বর্তমান মহামারির প্রেক্ষাপটে এটি কী কার্যকর ভূমিকা পালন করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারখানাটির নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই আমরা সম্ভবত মহামারিটিকে পরাজিত করব। বর্তমান মহামারির কারণে এই বিনিয়োগের কথা ভাবা হয়নি। যদি কোনো কারণে ভবিষ্যতে নতুন কোনো মহামারির বিস্তার ঘটে, সেক্ষেত্রে আমাদের ইউরোপে আরও একটি স্থান বাড়ল সেই মহামারিকে মোকাবিলা করার জন্য।

এই পদক্ষেপটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। এটি পর্তুগালের স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও করোনা মহামারির শুরুতে পর্তুগালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪০০টি। যা কয়েক মাসে এক হাজারের বেশি শয্যায় উন্নীত করা হয়। ফলে গত জানুয়ারিতে করোনার তৃতীয় আঘাত সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

এসএসএইচ