করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে চারটি ধাপে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। গত ৮ মার্চ তিনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ মে থেকে শতভাগ না হলেও দেশটিতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সংবাদ সম্মেলনে জাতির উদ্দেশে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্পেনের সঙ্গে বন্ধ থাকা বর্ডার খুলছে, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বেকারি ইত্যাদি গ্রাহকসহ রাত সাড়ে ১০পর্যন্ত খোলা থাকবে (অভ্যন্তরে এক‌ই টেবিলে ছয়জন বাইরে সর্বোচ্চ ১০ জন), শপিং সেন্টার সাধারণ দিনে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাধারণ দিনে রাত ৯টা পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। সুপার মার্কেটগুলো এখন রাত ৯টা পর্যন্ত অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় বিক্রয় করতে পারবে, যা ইতিপূর্বে ছিল সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যায়ামাগার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে, খোলা আকাশের নিচে সব ধরনের খেলাধুলা করা যাবে, ৫০ শতাংশ ধারণ ক্ষমতা ব্যবহার করে বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠান করা যাবে। এ বছরের শেষ নাগাদ সম্ভাব্য ক্ষেত্রে টেলি ওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি ১৫ দিন পর পর করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে, অন্যথায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।

পর্তুগালে চলমান জরুরি অবস্থা ৩০ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। গত জানুয়ারির কঠিন পরিস্থিতির পর দেশটি এখন বিশ্বের করোনা কম সংক্রমণ প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পর্তুগালে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৪ জনের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে একজনের।

এসএসএইচ