পর্তুগালের করোনার টিকা সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের প্রধান গৌইভিয়া ই মেলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, এ পর্যন্ত দেশের চার ভাগের এক ভাগ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৪ জন কমপক্ষে একটি ডোজ নিয়েছেন এবং ৯ লাখ ১৫ হাজার ২৪৬ জন পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। এ পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার  ৫৯০ ডোজ(কম/বেশি) টিকা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে দৈনিক ১ লাখ নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এর সঙ্গে তিনি আরও জানান, যেসব রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসবেন তাদের সে সময়ে টিকা দেওয়া হবে। যার ফলে টিকা কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি অসুস্থ নাগরিক দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে এবং তাদের সুরক্ষা বাড়বে।

গত ডিসেম্বর ২০২০ সালে শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রমটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা, এত দ্রুত সময়ে মহামারি চলাকালীন ভ্যাকসিন কার্যকর করা আসলে পুরো বিশ্বের জন্যই প্রথম অভিজ্ঞতা। তাই নতুন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে আমরা দেরি করবো না, তা আগামী সপ্তাহ থেকে তা শুরু হবে বলে তিনি জানান।

বর্তমানে পর্তুগাল তাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম এমনভাবে সাজিয়েছে যদি সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে তাহলে দেশের ৭০ শতাংশ নাগরিকদের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে একটি ডোজ দেওয়া যাবে।

পর্তুগালে এ পর্যন্ত করোন আক্রান্ত  হয়েছেন ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৯৮১ জন। তবে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে বিশ্বের সার্বিক বিচারে পর্তুগালের করোনাপরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।

এসএম