সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনার প্রকোপ বাড়ায় বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের ৯টি দেশের সঙ্গে আকাশ পথে ট্রানজিট ও কার্গো ফ্লাইট ছাড়া সব যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ঈদুল আজহার আগে দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের আমিরাতে প্রবেশ অনিশ্চিত।

এর আগে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভিয়েতনামের সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। শনিবার রাজধানী আবুধাবির শিল্পনগরী মোচ্ছাফ্ফার ৩৭ ও ৪০ নম্বর ছানাইয়া লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে দেশে আটকে পড়া অসংখ্য আমিরাত প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে অপেক্ষার দিন গুনছেন। কারও কারও ফিরতি টিকিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফ্লাইট চালু হলে নতুন করে টিকিটের সময় নবায়ন করতে হবে তাদের। 

চট্টগ্রামের রুবাইদুল রহমান জানান, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশে আটকে আছেন। ৮ জুনের জন্য টিকিট করা থাকলেও সেটি মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। 

তার মতো দুবাই প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের ফেরার কথা ছিল ৬ জুন। প্রবাসী মোরশেদ আলমের টিকিটে আমিরাত ফেরার তারিখ ১৫ জুন। এ সময় আদৌ ফ্লাইট পাবেন কি-না এই নিয়ে সন্দিহান তিনি।

কবে নাগাদ আমিরাতে ফ্লাইট স্বাভাবিক হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো সংকেত নেই খোদ বিমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ বিমানের দুবাই অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমিরাত রুটে কবে নাগাদ ফ্লাইট স্বাভাবিক হবে এটি এখনও বলা যাচ্ছে না। আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন আমাদের জানানো মাত্রই আমরা ফ্লাইট সচল করতে পারব। এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সংকেত পাইনি।

দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা বিমানের টিকিট কেনার ব্যাপারে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে ছুটিতে যেতে আগ্রহীরা হয়ত কেউ কেউ তিন-চার মাসের ব্যবধান রেখে রিটার্ন টিকিট নিচ্ছেন। কিন্তু দুই-তিন দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসার মত টিকিট আমরা বিক্রি করছি না।

ইউএস বাংলার দুবাইয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার নাইমুল ইসলাম বলেন, আপাতত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। জুলাই মাসেও ফ্লাইট স্বাভাবিক হবে কি-না সন্দেহ। ভারতে বর্তমানে করোনার যে পরিস্থিতি এটি স্বাভাবিক হলে হয়ত ঈদের পর ফ্লাইট খুলে যেতে পারে। তবে আগামী ১৮ জুন থেকে ইউএস বাংলার দুবাই থেকে ঢাকার ফ্লাইট চালু হচ্ছে।

ওএফ