জিসিসি দেশের প্রবাসীদের জন্য কুয়েতে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ চালু
জিসিসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইনে বসবাসরত বিদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কুয়েত।
সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১০ আগস্ট) কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল ইউসুফ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। যা আজ সরকারি গেজেট কুয়েত আলিয়ুম-এ প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিসিসি অঞ্চলের যে কোনো দেশে বসবাসরত এবং ন্যূনতম ছয় মাসের জন্য বৈধ রেসিডেন্স পারমিটধারী বিদেশি নাগরিকরা কুয়েতে প্রবেশ করতে চাইলে স্থলপথ কিংবা আকাশ পথে বন্দরে এসে সরাসরি পর্যটন ভিসা (অন অ্যারাইভাল) পেতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটকদের এখন আর দীর্ঘ ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বরং আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই তারা ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা পাবেন।
বিজ্ঞাপন
এর ফলে পর্যটকদের আর দীর্ঘ ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বরং আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই তারা ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপকে কুয়েতের পর্যটন খাতে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অনেক প্রবাসী।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, এই উদ্যোগ কুয়েতে শুধু পর্যটনই নয়, বরং ব্যবসা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
তিনি মধ্যপ্রচ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, কুয়েত সরকারের দেওয়া এই সুযোগ যেন আমার মিসইউজ না করি। কুয়েতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন অক্ষুণ্ন থাকে সেটা সবাই দেখতে হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন কুয়েতের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান পলাশ বলেন, জিসিসি অঞ্চলের মানুষের জন্য কুয়েত ভ্রমণ সহজ হওয়ায় আতিথেয়তা, হোটেল, পরিবহন এবং বিনোদন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কুয়েত সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটন খাতকে বৈচিত্র্যময় করার ওপর জোর দিচ্ছে, এবং এই ভিসা নীতি সেই প্রচেষ্টারই অংশ।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আ হ জুবেদ এই উদ্যোগকে ‘খোলা দরজার নীতি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করেন কুয়েতের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে।
এমএন