নিউইয়র্কে বিজয় দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক-এর যৌথ উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যু্দ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি সবাইকে মহান বিজয় দিবসের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জনমত গঠনে অবদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বাসবাসরত অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সব বীরাঙ্গনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য কনসাল জেনারেল সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বাসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া, তিনি প্রবাসীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটই দিতে সবাইকে উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানে ৭১-এর সব শহীদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে কমিউনিটির শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সভায় আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এনআই/জেডএস