নানা আয়োজনে মালদ্বীপে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালদ্বীপে মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মালদ্বীপের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হলরুমে এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
পরে সন্ধ্যায় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম। এ সময় মো. ইবাদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ফোরাম মালদ্বীপের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রবাসী চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালদ্বীপের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন।
বিজ্ঞাপন
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. নাজমুল ইসলাম ৭১ ও ২০২৪ সালের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বিজয় দিবস আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার মর্যাদার এক অনন্য প্রতীক। দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্র বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বিভিন্ন সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে অংশগ্রহণের জন্য মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অংশগ্রহণে র্যাফেল ড্রয়ের আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ী হিসেবে প্রথম পুরস্কার অর্জনকারীকে ঢাকা–মালে রিটার্ন বিমান টিকিট প্রদান করা হয়। পরে স্থানীয় ‘নীল দরিয়ার’ শিল্পগোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।
এমএন/এমএন