অস্ট্রেলিয়ায় এবারও দুই দিনব্যাপী ঈদ!
পরবাসের ঈদ দেশের তুলনায় জৌলুসহীন। তবে আগ্রহের কমতি নেই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমদের। যদিও ঈদ উদযাপনের দিনক্ষণ নিয়ে আছে সংশয়। প্রতিবছরই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি, যথারীতি ঈদ হচ্ছে দুটি পৃথক দিনে।
একদল ঈদের তারিখ ঠিক করেছেন চাঁদ দেখার রীতির ওপর নির্ভর করে। আরেকদল ঈদ করবেন পঞ্জিকার হিসেবে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ পালন করায় দৃশ্যত দ্বৈত নীতিতে পরিণত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ঈদ।
বিজ্ঞাপন
এতে কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছেন, অপছন্দও করছেন। আবার অনেকে ভালো চোখেও দেখছেন। তবে আক্ষেপের সুরে অনেকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিম কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলামের সৌন্দর্য আরও বেশি ছড়াত, সামগ্রিকভাবে আদায় করা যেতো ঈদের দাফতরিক ছুটিও।
এ বছর ২০ ও ২১ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল আজহা পালিত হবে। ২০ জুলাই ঈদ পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে পঞ্জিকার সাহায্য নিয়ে, যা অস্ট্রেলিয়ায় ফতোয়া কাউন্সিল থেকে অফিসিয়ালি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়। আর এই কাউন্সিলের চালকের আসনে আছেন গ্রান্ড মুফতি ইব্রাহিম আবু মোহাম্মদ। বাংলাদেশিদের কিছু অংশ এই দিনে ঈদ করবেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে পরের দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই ঈদ পালন করবেন চাঁদ দেখা কমিটির অনুসারীরা। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত দেয় অস্ট্রেলিয়ার মুন সাইটিং। রোববার (১১ জুলাই) কমিটির এক নোটিশে এই সিদ্ধান্ত জানান সংগঠনটির কো-অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ। বাংলাদেশি কমিউনিটির আরেকটি অংশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের এই দলে ভিড় করতে দেখা যায়।
এদিকে ঈদের তারিখ নিয়ে দ্বৈত নীতির কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিব্যক্তি। দেশের মতো প্রবাসে একদিনে সবাই ঈদ করাটা বড্ড মিস করেন বলে জানান কেউ কেউ। দুটি পৃথক দলের অনুসারী হয়ে একজন আরেকজনকে টিপ্পনী কাটতেও দেখা যায়। তবে এখানে একটু সুবিধাও আছে বলে জানান একজন বাংলাদেশি মুসলিম। তিনি বলেন, দুদিনের একদিনকে ইচ্ছেমতো বাছাই করা যায়।
আদতে অস্ট্রেলিয়া ঈদ উপলক্ষে অফিসিয়াল কোনো ছুটি না থাকায় ঈদের পরের উইকেন্ড (সাপ্তাহিক ছুটি শনি ও রোববার) এ আয়োজন আপ্যায়নের পর্ব বেশি দেখা যায়। কেউবা আবার ঘুরতে যান দলবেঁধে, পছন্দের মানুষদের নিয়ে। তবে ঈদের দিনেই নির্ধারিত সময়ে ঈদ জামাতে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকে এ দিনটিকে আগে থেকে ছুটি নিয়ে নেন। তবে ভিন্ন দুটি দিন হওয়ায় বেশি আগে থেকে এ ছুটি নিতে বেগ পোহাতে হয়। ঈদ উদযাপনের কমিটি থেকে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত, নির্দিষ্ট কোন দিনে ঈদের জন্য ছুটি চাইবেন এই নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
এইচকে