পর্তুগালের রাজধানীর লিসবনে প্রাসা দো কমার্সিয়ো প্রাঙ্গণে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী পর্তু শহরে অভিবাসীদের দ্রুত নিয়মিত করার দাবিতে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অভিবাসীরা পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রচলিত নিয়মের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কেননা, তাদের অনেকে এক থেকে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন অথচ কবে নাগাদ রেসিডেন্ট কার্ড পেতে পারেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

উল্লেখ্য, পর্তুগালে রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জমা করতে হয়। পরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিচার বিবেচনা করে ইমেইলে অনুমোদন দেয়। এর জন্য বর্তমান সময়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সময় লাগছে এক বছরের বেশি। কিন্তু অসন্তোষের বিষয় হচ্ছে ফাইল অনুমোদনের পরও পাওয়া যাচ্ছে না ইমিগ্রেশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। এই অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে রয়েছে এক ধরনের অনৈতিক অভিযোগ‌ও। কেননা, বছরে মাত্র তিন থেকে চারবার স্বল্প সময়ের জন্য অ্যাপয়নমেন্ট খোলা হয়ে থাকে, তাই নির্দিষ্ট সময় না জানার কারণে অনেকের পক্ষেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া সম্ভব হয় না।

বিক্ষোভকারীরা এ ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ক্রমান্বয়ে দ্রুত প্রয়োজনে অনলাইনের মাধ্যমে সব রেসিডেন্ট কার্ড দেওয়ার আহ্বান জানান। দ্রুত সময়ে ফাইলের অনুমোদন এবং ইমেইল অনুমোদনের সময় থেকে নিয়মিত নাগরিক হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানান তারা।

অবশ্যই ইতোমধ্যে পর্তুগিজ সরকারের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী এদোয়ার্দো কাব্রিতা ইতোপূর্বে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ধরনের দুর্নীতির বিষয় থাকলে তার তদন্তের নির্দেশ দেন এবং স্বয়ংক্রিয় অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিষয়ে আশ্বাস দেন। অপরদিকে বিভিন্ন অনিয়ম জটিলতার কারণে পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতোমধ্যে পর্তুগিজ সংসদে অনুমোদন হয়েছে।

পর্তুগালে অভিবাসীদের সংগঠন সলিদারীদাদ ইমিগ্র্যান্টের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে অন্যান্য সংগঠন কাজা দো ব্রাজিল দে লিসবোয়া, অ্যাসোসিয়েশন অল্হো ভিবো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

এসএসএইচ