ভিনদেশে বাংলার বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন
প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির জৌলুস তুলে ধরতে অনবদ্য প্রয়াস রেখে চলেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বাংলাদেশি সংগঠন বাওয়া (বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া)।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় পার্থের রিক্সন থিয়েটারে আয়োজন করা হয় বাওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২১ এর। বর্ণাঢ্য এ সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। গত বছর করোনাবিধির কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি মঞ্চে গড়ায়নি।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা এতে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন। একক সংগীত, স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটক, ম্যাজিক-শো, দেশীয় ঘরানার ও আধুনিক নাচসহ দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানের নানা পরিবেশনায় বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর জোর দেওয়া হয়। দেশীয় সম্ভাবনাময় বিভিন্ন বিষয় এতে তুলে ধরা হয়। স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের। বিশেষভাবে বসন্ত উৎসব, বিজয় বাংলাদেশ ও আমরা করব জয়ের মতো পর্বগুলো উপস্থিত সবার নজর কাড়ে।
বিজ্ঞাপন
এ আয়োজনে চিরায়ত সবুজ বাংলাকে অপরূপভাবে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সব পরিবেশনাকারীর অংশগ্রহণে আমরা করবো জয় উপস্থাপন করা হয়। দলীয় এ আয়োজনটি ছিল মনোমুগ্ধকর।
এ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কয়েকটি পরিবেশনাও রাখা হয়। প্রায় ১৮০ জন শিল্পীর পরিবেশনা উপভোগ করেন প্রায় ৬৫০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অতিথিরাও।
অনুষ্ঠানের অর্থ যোগানে সহায়তা দেয় অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান লটারিওয়েস্ট। সব মিলিয়ে যেন এক টুকরো বাংলাদেশ দেখলেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশিরা।
অনুষ্ঠানের আগের তিন মাস ধরে চলে অনুশীলন। এ আয়োজনের নেপথ্য কাজ করেছে বাওয়ার নির্বাহী কমিটি। মূল ভূমিকায় ছিলেন বাওয়া সভাপতি ডাক্তার শাহেদীন শহীদ রাজু ও তাসনীমুল গালিব অমিত। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ড. তন্ময় দেবনাথ ও আবু সাঈদ আনোয়ার।
আয়োজনটি নিয়ে বাওয়ার সভাপতি ডা. শাহেদীন শহীদ রাজু বলেন, আমরা যারা প্রবাসে আছি, আমাদেরও দেশের জন্য টান আছে। পরের প্রজন্মের জন্য এ সংস্কৃতি রেখে যেতে চাই। তাই এ আয়োজন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাসনীমুল গালিব অমিত জানান, শিশুরা যাতে বাংলা সংস্কৃতির আবহের মধ্যে বড় হয়। সে জন্যই আমরা এ আয়োজনে দিন-রাত শ্রম দিয়ে থাকি।
আরএইচ