সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

বাংলাদেশের ৪র্থ মিশন হিসেবে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।  ২০ অক্টোবর এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। 

এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদার, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন এবং ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল আনোয়ার সাদাত আবু মোঃ ফুয়াদ। 

এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।  

ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল আনোয়ার সাদাত আবু মো. ফুয়াদ তার বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম ও প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন তার বক্তব্যে দিনটিকে বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউলের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে,প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখার আলোকে বাংলাদেশ ও বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিউলে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে। 

তিনি আরও বলেন যে, ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। তিনি সিউলে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/দফতরের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

ড. তরুণ কান্তি শিকদার বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রূপরেখা বাস্তবায়নের একটি অন্যতম মাইলফলক হলো ডিজিটাল ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। 

বক্তব্য শেষে অতিথিরা ফিতা কেটে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং দূতাবাসের কন্সুলার শাখায় নবস্থাপিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সিস্টেম পরিদর্শন করেন।

এনএফ