ইউরোপে করোনা মহামারির পঞ্চম আঘাতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, ফলে পর্তুগালেও বেড়েছে সংক্রমণ। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ১ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী বিপর্যস্ত পরিস্থিতি ঘোষণা করেন।

নতুন বিধিনিষেধ হিসেবে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেলিওয়ার্ক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত ব্যতিক্রম বাদে সকল বদ্ধ স্থানে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট, পর্যটনকেন্দ্র বা আবাসিক হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন আবাসিক কেন্দ্রে চিহ্নিত আসনের কোনো ইভেন্ট বা জিমনেসিয়ামে ইইউ কোভিড ডিজিটাল সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিমানে পর্তুগালে আগত সকল যাত্রীদেরকে করনা নেগেটিভ টেস্ট প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া বৃদ্ধাশ্রম, রোগী দেখা, অনুষ্ঠান, পানশালা ও ডিস্কো যাওয়ার জন্য ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বা করোনা নেগেটিভ টেস্ট দেখাতে হবে।

অপরদিকে, ২০২২ নতুন বছরের ২ থেকে ৯ জানুয়ারি তারিখ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক টেলিমার্কসহ স্কুল-কলেজের বড়দিনের ছুটি ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসময় ডিস্কোগুলোও বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পর্তুগিজ নাগরিক রাজিব আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্তুগালে ভ্যাকসিন পরিস্থিতির উন্নতির কারণে নতুন বিধিনিষেধে ততটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি। তবে ইউরোপিয়ান ব্লকের অন্যান্য দেশগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্তুগালের শীতকালীন পর্যটন ব্যবসা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ফলে পর্যটন খাতে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতেই পর্তুগালের নাগরিকদের দায়িত্ববোধের প্রশংসা করেন। বর্তমানে জনসংখ্যার অনুপাত হিসেবে ইউরোপের সর্বোচ্চ টিকা গ্রহণকারী দেশ হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অধিকাংশ নাগরিক সুরক্ষিত থাকার ফলশ্রুতিতে আশপাশের অন্যান্য দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি মারাত্মক হলেও পর্তুগাল এখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সে কারণেই পর্তুগিজ সরকার কঠিন কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি, যা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য ইতিবাচক। উল্লেখিত সব বিধিনিষেধ ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

ওএফ