দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় শঙ্কায় পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা। ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও চিন্তায় পড়েছেন তারা। 

আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন আতঙ্কে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করছেন সংক্রমণ বেড়ে গেলে সরকার আবার লকডাউন দিতে পারে। 

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হটস্পট গাওটিংয়ের জোহান্সেনবার্গ এলাকার প্রবাসী ব্যবসায়ী পারভেজ বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অনেক পরিচিত মানুষকে হারিয়েছি। বর্তমানে চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। আমরা আশায় বুক বেধে ছিলাম। এরমধ্যে আবারও করোনার নতুন আক্রমণের কথা শুনতে পারছি। জানি না সামনের দিনগুলোতে কি ঘটতে চলেছে। 

জোহানসবার্গের বেননি এলাকার ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা কত বছর থাকবে, কবে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারব তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। অন্ধকার অবিষ্যৎ নিয়ে চলতে চলতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। 

দেশটির  বিজ্ঞানীরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বি.১.১.৫২৯ নামক এ ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশনের একটি খুব অস্বাভাবিক কনস্টেলেশন আছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত কয়েক দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। অন্যদিকে দেশটির উপর কয়েকটি দেশ ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট সীমিত করেছে। যার ফলে নতুন করে ভাবনায় পড়েছে দেশটির সরকার।

তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, সরকার এ ভ্যারিয়েন্টের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবে কিনা তা এখন বলা সম্ভব নয়। এর আগে, গত বছর প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে বেটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল।

আইএসএইচ