ওয়েটার থেকে মালিক, দ.আফ্রিকায় সফলতার কৌশল জানালেন এই প্রবাসী
দক্ষিণ আফ্রিকার নিজের বাড়ির সামনে মনির হোসেন
২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান ঢাকার সেগুনবাগিচার মো. মনির হোসেন। দেশটিতে যাওয়ার পর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ব্যবসার মাধ্যমে মুখ দেখেছেন সফলতার। দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকত্ব পাওয়া মনির এখন ফ্ল্যাট, প্লটসহ একাধিক গাড়ির মালিক।
দীর্ঘ ২০ বছরের প্রবাস জীবনের শুরুর কথা জানতে চাইলে মনির জানান, তার কর্মজীবনের শুরু রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের হিসেবে। কখনো কাপড়ের ব্যবসা আবার কখনো রাস্তায় রাস্তায় হকারিও করেছেন। কঠোর পরিশ্রমের পর জোহানসবার্গে এখন নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
বিজ্ঞাপন
মনির হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন পা রাখি সবই নতুন আর অচেনা। কোথায় যাব, কী করব, কিছুই বুঝতাম না। ভাষা না জানার কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর মুখোমুখি হয়েছি। দেশটিতে ২০ বছর কাটিয়েছি, এখন সবাই সহজ মনে হয়। কিন্তু শুরুটা তেমন ছিল না। তবে সঠিকভাবে কাজ করেছি, কখনো হতাশ হইনি। মনে হচ্ছে, সত্য ও সঠিক পথে থাকার ফল এখন পাচ্ছি।
সফলতার চাবিকাঠি কী জানতে চাইলে মনির বলেন, নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে। জোহানসবার্গে আমার দোকানে বাংলাদেশি ও আফ্রিকান নাগরিকরা কাজ করেন। কাউকেই পৃথক করে দেখি না, কাজকে গুরুত্ব দেই। আর কর্মচারীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ভালো কর্মচারী না পেলে আপনি ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন না। অনেকেই স্টাফদের কথায় কথায় লাঞ্ছিত করেন, এটা ঠিক না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমার দোকানের অর্ধেক কাজ নিজেই করি। কাজের নেতৃত্বটা আমি দেই। আমার সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা আমার সহযোগী। তাদের খাওয়া-দাওয়া, ঘুম বা কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখি। কাজ করতে কারও ভালো না লাগলে তাকে জোর করি না।
নতুনদের উদ্দেশ্যে মনির হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক সম্ভাবনার দেশ। এখানে কিছু সমস্যাও আছে। সেগুলোর সমাধান করতে পারলে যে কেউ এখানে সফল হবেন। তবে সত্যের ওপর থেকে সঠিকভাবে পরিশ্রম করতে হবে। হতাশ হওয়া যাবে না।
ওএফ