ঢাকার হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা।

সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা অনেক বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলের লোকজনও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট ও ৬ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আমিরাতে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে।

অনেকদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকার পরে যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার সুযোগ করল তখন থেকে শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকায় ল্যাব বসানোর পরেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আমিরাত প্রবাসীদের।

আমিরাতে অধিকাংশ প্রবাসী চট্টগ্রামের হলেও এতো আন্দোলন-মানববন্ধন করেও শাহ আমানত বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর মেশিন না বসানোয় তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।

চট্টগ্রামে আরটিপিসিআর মেশিন না বসায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। যদি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে যথাসময়ে ল্যাব বসানো হতো তাহলে টিকেট রি-ইস্যু অথবা তারিখ পরিবর্তনের জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রবাসীদের কষ্টের পয়সা দিতে হতো না।

প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি চট্টগ্রাম ও সিলেট প্রবাসীদের জোর দাবি, এই দুই বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব বসানো হোক। একমাত্র শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর কারণে অন্যান্য জেলা থেকে যাতায়াত করতে প্রবাসীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনেককে আবার দুদিন আগেও এয়ারপোর্ট চলে আসতে হচ্ছে। ফলে তাদেরকে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রবাসীরা জানান, অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব বসিয়ে প্রবাসীদের হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।

ওএফ