পর্তুগালে বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে পর্তুগালে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুরু করেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পর্তুগাল সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ বছরের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের তাৎপর্যবাহী ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বাঙালিদের জীবনে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, বিজয়ী দেশের মুক্ত পরিবেশে মানুষের মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশেষভাবে, গত এগারো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বিশ্বময় স্বীকৃত। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির মধ্যেও গত অর্থবছরে ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের গৌরবকে ধারণ করে বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নত আচরণ আর কাজের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। যে মানবিক, উদার, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য লাখো শহীদ আত্মাহুতি দিয়েছেন, সে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর সংবিধানবিরোধী যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে সকল সচেতন নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
এমএইচএস/এনএফ