পর্তুগালে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পর্তুগিজ স্থানীয় প্রশাসন, বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল হাতে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে শহীদ মিনারের উদ্দেশে আসতে থাকেন। একে একে বাংলাদেশ দূতাবাস, পর্তুগালের স্থানীয় আরোইশ মিউনিসিপ্যালিটি, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল শাখা, বিএনপি পর্তুগাল শাখা, পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, বরিশাল অ্যাসোসিয়েশন, ফরিদপুর অ্যাসোসিয়েশন, প্রবাসী শিল্পী গোষ্ঠী, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাব এবং ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পর্তুগালের নেতারা শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে প্রথমেই পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান সূচনা বক্তব্যে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশের ত্যাগ ও গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় আরোইশ মিউনিসিপ্যালিটির প্রেসিডেন্ট মাদালেনা নাতিভিদাদ বাংলাদেশিদের এই আয়োজনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মাতৃভূমি, ভাষা এবং ঐতিহ্যের চর্চা আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশিদের সব আয়োজনে তার প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠান শেষে পর্তুগাল প্রবাসী সংগীতশিল্পীরা উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমবেত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি, গানটির মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অন্যদিকে বন্দরনগরী পর্তোতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তোর উদ্যোগে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিটে আয়োজনের কথা রয়েছে। এতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তোর ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ইসপাসোটির উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে পদক দেওয়া হবে।
জেডএস