৪০ দিন ফজর নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ৮৪ কিশোর
৪০ দিন ফজর নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ৮৪ জন কিশোর
টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সাথে জামাতে সালাত আদায় করায় সিলেটের শিবগঞ্জে ৮৪ জন কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে একটি করে নতুন সাইকেল দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ইসলাম শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে দারুণ সংযোজন বলছেন। যদিও এর আগে আরও কয়েকটি জেলার মসজিদে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সিলেটের শিবগঞ্জে সৈয়দ হাতিম আলী মসজিদ ও তালিমুদ্দিন একাডেমী সিলেট-এর যৌথ উদ্যোগে সৈয়দ হাতিম আলী মসজিদ প্রাঙ্গণে কিশোরদের কাছে উপহারের সাইকেল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারা টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সাথে মসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি তালিমুদ্দিন একাডেমির দরসে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কোরআন শরিফ তেলাওয়াত শেখাসহ জরুরি দ্বীনি শিক্ষার ক্লাসে অংশগ্রহণ করত।
বিজ্ঞাপন
বাইসাইকেল বিতরণ উপলক্ষে ব্যবস্থাপক মাওলানা আবুল হাসান আবদুল্লাহ বলেন, এটা কেবল শুরু। সারাজীবন নিয়মিত এই অভ্যাস বজিয়ে রাখতে হবে। সারাদেশে বিভিন্ন শহরে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন জরুরী দ্বীনি আমলের ক্ষেত্রে এই জাতীয় উৎসাহ দেওয়ার চর্চা আরও বেশি করে শুরু হলে— নতুন প্রজন্মের দ্বীনি ও নৈতিক জাগরণের একটি নতুন যুগ শুরু হতে পারে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটায় কিশোরদের মাঝে সাইকেল বিতরণ করা হয়। এই সময় ছোট ছোট বাচ্চারা আবেগ-আনন্দ ও ভালোবাসায় তাদের অভিভাবকদের প্রশান্তির এই উপহার ও গর্বের কারণ হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে এখানেই একই উপলক্ষে অল্পকিছু সাইকেল বিতরণের প্রথম উদ্যোগটি সম্পন্ন হয়েছিল। সিলেটের এই এই উদাহরণটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক। সারাদেশে বিভিন্ন শহরে, তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন জরুরি দ্বীনি আমলের ক্ষেত্রে এই জাতীয় উৎসাহ প্রদানের চর্চার অনুসরণ শুরু হলে— নতুন প্রজন্মের দ্বীনি ও নৈতিক জাগরণের একটি নতুন যুগ শুরু হতে পারে। অবাধ অনৈতিকতা, মাদকের হাতছানি ও অসাধু জীবনাচারের শৃঙ্খলহীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের সুন্দর নজির সামনের দিনগুলোতে শুদ্ধতা ও শান্তির বাতাস নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করেন আয়োজকরা।
সাইকেল বিতরণের আগে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় মানুষদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- দেশের প্রখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার প্রধান মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বরুনার শায়েখ দেশবরেণ্য বুজুর্গ রাশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, শায়খ মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, শায়খ মাওলানা আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী ও মাওলানা আবু হাসসান রাইয়ান প্রমুখ।