সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন ও দুই হাজার কৃষককে নগদ অর্থ সহায়তায় কাজ শুরু করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজেই জানিয়েছেন এই পুনর্বাসন প্রকল্পের কথা।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, ‘পুনর্বাসনের দুটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি আমরা—

১. সরেজমিন রিপোর্টের ভিত্তিতে বন্যায় গৃহহীন এক হাজার পরিবারকে প্রাথমিকভাবে চার বান টিন ও ১০টি করে পিলার দেবে ফাউন্ডেশন। এরপর ঘরের কাজ শুরু করলে নির্মাণ খরচ বাবত নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। আর সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কিছু পরিবারকে সম্পূর্ণ আধাপাকা ঘর প্রস্তুত করে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ

২. এছাড়াও বন্যায় ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার কৃষক ও গৃহস্থকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করবে ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি টিম কাজ করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায়। তারা সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এ সপ্তাহে আরো কয়েকটি টিম তাদের সাথে যোগ দেবে ইনশাআল্লাহ।’

পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অর্থের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ইতোমধ্যে অর্থ সংগ্রহ হয়ে গেছে। তাই এই প্রকল্পে আর কোনো অর্থ সহায়তা নিচ্ছি না আমরা। এখন বন্যা তহবিলে কোনো অনুদান পাঠালে তা পরবর্তীতে বন্যায় ব্যয় করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এর আগে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের এক হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। যার মধ্যে ছিল ১৮ হাজার বস্তা চাল (২৫ কেজির প্রতিটি)। 

এছাড়াও এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্যা দুর্গত এলাকাসহ সারাদেশের ৫০টি জেলায় মোট ৫৩৮টি গরু ও ছাগল কোরবানি করে দুস্থ পরিবারের মধ্যে গোশত বিতরণ করে সংস্থাটি। এর মধ্যে ২১০টি গরু এবং ৩২৮টি ছাগল ছিল। শুধু বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতেই জবাই করা হয় ১০৫টি গরু।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা, দাওয়াহ ও মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে যাত্রা করে সংগঠনটি। বিশিষ্ট দাঈ ও জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ হাত ধরেই মূলত সংস্থাটির কার্যপরিধি দিন দিন বিস্তৃতি লাভ করছে।

এনটি/