প্রতীকী ছবি

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন। যে যেখানেই এবং যে অবস্থাতে থাকুক— নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে কিংবা যানবাহনে থাকলে, তার নামাজেরও সুরত ও পদ্ধতি রয়েছে। নামাজের আগে নিজেকে সবধরনের নাপাকি থেকে পবিত্র করতে হয় এবং পুরুষ-নারী সবার জন্য নামাজে সতর ডেকে রাখা আবশ্যক। কারণ সতর খোলা থাকলে নামাজ হয় না।

সতর এবং শরীর ঢাকার মাধ্যম পোশাক। সবাই নিজের পছন্দ মত পোশাক পড়তে ভালোবাসেন। বর্তমানে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হয়, কোনও কোনওটিতে প্রাণীর ছবিও আঁকা থাকে। রুচি বৈচিত্র্যের কারণে অনেকে তা পরতে পছন্দ করেন। তবে ইসলামে যেহেতু প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম। তাই এমন পোশাকে নামাজ হবে কিনা এমন প্রশ্ন করেন অনেকে।

এ বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ইসলামে যেকোনো প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম। এটি কবিরাগুনাহ। এ ব্যাপারে হাদিসের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

এই ছবি দিয়ে কাউকে সম্মান করা হোক বা অপমান, উভয় অবস্থায় তা হারাম। কেননা এর ফলে আল্লাহর সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন হয়ে যায়। কাপড়, বিছানা, মুদ্রা, বাসনকোসন, দরজা বা অন্য যেকোনো কিছুতে ছবি আঁকা হারাম। 

প্রাণীর ছবি ছাড়া অন্যান্য ছবি হারাম নয়। যেমন- গাছপালা, পাহাড়, ঝরনা ইত্যাদির ছবি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়। (শরহে নববী ১৪/৮১)

ইসলামী শরিয়ত মতে, কোনো প্রাণীর ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা হারাম। তবে প্রাণহীন বস্তু যেমন- বৃক্ষ, পাহাড়, ঝরনা ইত্যাদির ছবি বৈধ। (আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৯, মেরকাতুল মাফাতিহ ৪৪৮৯)

অনেকে মনে করেন, ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা শুধু নামাজের ক্ষেত্রে হারাম! ফলে তারা নামাজের সময় এ ব্যাপারে খেয়াল রাখলেও অন্য সময় উদাসীন থাকে। অথচ এটা তাদের ভ্রান্ত ধারণা। সর্বাবস্থায় ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা হারাম। তবে হ্যাঁ, নামাজে এমন পোশাক পরিধান করা গর্হিত অপরাধ।

কোনো ছবিযুক্ত কাপড় দিয়ে নামাজ আদায় করা হোক বা না হোক, উভয় অবস্থায় তা মাকরুহে তাহরিমি বা হারাম। (আল-বাহরুর রায়েক ২/২৯)

সুতরাং ছবিযুক্ত কাপড় পরে নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে ঠিকই, কিন্ত মাকরুহে তাহরিমি বিষয়ে লিপ্ত অবস্থায় নামাজ পড়ার কারণে গুনাহ হবে।

এনটি