সুন্নতের দ্বিতীয় রাকাতে জামাত শুরু হলে করণীয়
প্রতীকী ছবি
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের আগে-পরে ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে, এর গুরুত্ব অপরিসীম। শরীয়তের পরিভাষায় সুন্নত বলা হয়, ওই আদেশমূলক বিধানকে, যা ফরজ-ওয়াজিবের মতো অপরিহার্য না হলেও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত আমল থেকে তা প্রমাণিত। -(ফিকহুস সুন্নাহ, ১৬০)
সুন্নত নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন কারও ফরজ নামাজে ঘাটতি থাকলে, এ নামাজ দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সেই ঘাটতি পূরণ করবেন।
বিজ্ঞাপন
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সবার আগে যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে, তা হল নামাজ। নামাজ ঠিক হলে সে পরিত্রাণ ও সফলতা লাভ করবে। নইলে (নামাজ ঠিক না হলে) ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিজ্ঞাপন
সুতরাং (হিসাবের সময়) ফরজ নামাজে কোনও কমতি দেখা গেলে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের বলবেন, ‘দেখ, আমার বান্দার কোনও নফল (নামাজ) আছে কি না।’ অতএব তার নফল নামাজ দ্বারা ফরজ নামাজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। তারপর অন্য আমলের হিসাব গ্রহণ করা হবে।’ -(সুনানে আবু দাউদ, ৭৭০, তিরমিজি, ৩৩৭, ইবনে মাজাহ, ১১৭)
আরেক হাদিসে হজরত উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ও দিনে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করলো, জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হলো। সেগুলো হলো জোহরের (ফরজ নামাজের) পূর্বে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত, ফজর নামাজের পূর্বে দুই রাকাত। -(তিরমিজি, কিতাবুস সালাত, ১/ ৪৪০,৪৪৫)
তাই অন্যান্য আমলের পাশাপাশি সুন্নত নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সুন্নত নামাজের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা অনেকেই জানতে চান। তা হচ্ছে, যদি কোনও ব্যক্তির জোহরের সুন্নত নামাজের এক রাকাত অথবা দুই রাকাত হয়েছে, এ অবস্থায় জামাত দাঁড়িয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তার করণীয় কী?
এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, সুন্নত আদায়কারী ব্যক্তির যেন জামাত ছুটে না যায়, তাই তার করণীয় হল, সুন্নত নামাজ এক-দুই রাকাত পড়া অবস্থায় জামাত দাঁড়িয়ে গেলে দুই রাকাত শেষ করে সালাম ফিরিয়ে সুন্নত নামাজ শেষ করে নেবে। এরপর ইমামের সাথে জামাতে শরিক হয়ে যাবে। -(মারাকিল ফালাহ : ১৭৫, হিন্দিয়া : ১/১২০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৫৪৩)
এনটি