সফরের প্রতি ইসলাম কখনো নিরুৎসাহ করেনি। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে দেশ-বিদেশে ভ্রমণের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ বলেন- ‘বলো, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো এবং দেখো, তোমাদের আগের লোকদের কী পরিণাম হয়েছিল! তাদের বেশির ভাগই ছিল মুশরিক।’ -(সুরা : রুম, আয়াত : ৪২)

ভ্রমণে চিন্তার জগৎ প্রসারিত হয় এবং এতে থাকে শিক্ষণীয় উপাদান। ভ্রমণে এই শিক্ষণীয় দিকটার প্রতি কোরআন বিশেষ নজর দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘বলে দাও, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছিল?’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১১)

সফর বা ভ্রমণ আনন্দের, উৎসবের। ব্যস্ত জীবনের এক ঘেয়েমি কাটাতে ভ্রমণ একান্ত প্রয়োজনীয়ও বটে। এসময় মানুষ সব চাপ ভুলে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়। তবে একান্ত আনন্দের মুহুর্তটাও সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্বৃত্তদের কারণে বিষাদে পরিণত হয় অনেক সময়। ইসলাম মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমল শিখিয়েছে। 

ভ্রমণের আনন্দঘন মুহুর্তে যেন মানুষ বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পারে এমন আমলও শিক্ষা দেওয়া হয়েছে ইসলামে। ভ্রমণের মাঝপথে অনেক সময় যাত্রাবিরতি দিতে হয়। প্রাচীন যুগের কাফেলা, যাযাবর গোষ্ঠীর মাঝে এ প্রবণতা ও প্রয়োজনীয়তা যেমন ছিল, বর্তমান আধুনিক যুগের ভ্রমণেও এর বিপরীত কিছু ঘটেনি। আকাশ, সড়ক, রেলপথে বিভিন্ন সময় যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাত্রাপথে বিরতির সময় একটি দোয়া পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

যাত্রাপথে কোথাও অবস্থান করতে হলে এ দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এই দোয়াটি পড়লে, ঘরে ফেরা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ الله التَّامَّاتِ من شَرِّ ما خَلَقَ

উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।’ 

অর্থ : আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা চাচ্ছি। -(মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)

এনটি