প্রতীকী ছবি

একজন মুমিনের জীবনের সব থেকে বড় প্রাপ্তি হলো আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট ও তার ভালোবাসার লাভ করা। কারণ কারো ওপর আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে গেলে দুনিয়া ও পরকালের জীবনে তার কোনও ভয়ভীতি ও পেরেশানি থাকবে না। 

একজন মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন কিনা এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে কিছু আলামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন মানুষ সহজে বুঝতে পারবেন তিনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা কিনা এবং তার ভালোবাসার পাত্র কিনা। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ তায়ালা কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন জিব্রাইল (আ.)-কে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাসো। অতঃপর জিব্রাইল (আ.)-ও তাকে ভালোবাসতে থাকেন এবং আকাশে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ তায়ালা অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, তোমরাও তাকে ভালোবাসো। তখন আকাশের অধিবাসীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করেন।

অতঃপর সেই বান্দার জন্য জমিনেও স্বীকৃতি স্থাপন করা হয়। আর যখন আল্লাহ তায়ালা কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন জিব্রাইল (আ.)-কে ডেকে বলেন যে, আমি অমুককে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা করো। অতঃপর জিব্রাইল (আ.)-ও তাকে ঘৃণা করেন এবং আকাশে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ তায়ালা অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, তোমরাও তাকে ঘৃণা করো এবং আকাশবাসীরাও তার প্রতি ঘৃণাপোষণ করেন। অতঃপর তার জন্য জমিনেও ঘৃণা স্থাপন করা হয়।’(মেশকাত: ৫০০৫; মুসলিম ১৫৭-(২৬৩৭৮), সহিহুল জামে: ২৫৮৫; আহমদ; ৮৫০০)

আল্লাহ তায়লার ভালোবাসার বান্দার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হলো- তাঁকে আল্লাহ দ্বীনের বুঝ দান করবেন এবং সে অনুযায়ী বেশি বেশি নেক আমল করার সুযোগ দান করবেন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন—

‘আল্লাহ তাআলা যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী।’ (বুখারি: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭; মেশকাত: ২০০)

এনটি