প্রতীকী ছবি

একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ। ছোট হোক কিংবা বড়— তার সবকিছু কেয়ামতের দিন তার কাজে আসবে। অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে তাকে সহযোগিতা করবে। তাই আমল ও নেক কাজ যতই ছোট হোক কিংবা ক্ষুদ্র— কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।

দেখা যাবে, ইখলাসের সঙ্গে যেসব ছোট ছোট কাজ করা হয়েছে— তা একদিন বিপুল ও মহৎ প্রাপ্তি এনে দেবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ, সেদিন তাদের নিজ নিজ কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে, সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে, তাও দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল, আয়াত : ৬-৮)

যে আমল পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুইটি বাক্য এমন রয়েছে— যা বলা সহজ ও আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো- সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬)

আরবি : 

سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।

অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

আরও পড়ুন : বেশি সওয়াব লাভের দোয়া

যে জিকিরে জান্নাতে খেজুর রোপণ হবে

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।” (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬৪)

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মানুষ এখন অনেক ব্যস্ত থাকেন। নানা রকম কর্মযজ্ঞ ও ব্যস্ততার কারণে হয়ত কারও কারও নিয়মিত নিয়মিত নফল ইবাদত করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহর জিকি যেকোন জায়গায় ও যেকোন মুহূর্তে করা যায়। তার প্রশংসায় তার ছোটখাটো দোয়া-জিকির অনেক সহজ। এতে কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না। কাজ-কর্মেও কোনো ব্যাঘাতও সৃষ্টি হয় না।

আল্লাহ তাআলা আমাদের বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন।