সেহরি, ইফতার, রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ দুই খাবার। পুরো দিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যা বেলায় ইফতার করা হয়। রোজা শুরু করার জন্য ফজরের আগে সেহরি করা হয়।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশির ভাগ সময় কাঁচা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। কাঁচা খেজুর না থাকলে তিনি শুকনো খেজুর এবং তৎকালীন আরবের প্রচলিত খাবারে ইফতার করতেন।

বর্তমান আরবের মানুষেরা ইফতারির আয়োজনে  কফি, স্যুপ, কোনাফা, ত্রোম্বা, বাছবুচাণ্ডর নামক নানা রকম হালুয়া, সরবা, জাবাদি দই, লাবান, খবুজ (ভারী ছোট রুটি) বা তমিজ (বড় রুটি) ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এছাড়া সাম্বুচা নামক এক ধরনের খাবার রয়েছে, যা দেখতে সমুচার মতো। এটি মাংসের কিমা দ্বারা তৈরি এবং এতে কোনো মরিচ থাকে না।

এসবের পাশাপাশি রমজানের ইফতারে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বিভিন্ন আরব দেশের পরিবারগুলোতে হারিস নামের একটি খাবার বহুল জনপ্রিয়। এটি গম, ভেড়া বা মুরগির মাংস এবং মাখন দিয়ে তৈরি একটি পোরিজ জাতীয় খাবার।

বেশির ভাগ আরব পরিবারে এই খাবারটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো, এটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু, সারাদিন লম্বা সময় রোজা রাখার পর এটি পেটের জন্য আরামদায়ক।

এই খাবারটিকে মূল খাবার অথবা রমজানের অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও রাখা যায়। প্রতিবেশীর মাঝেও ভাগ করে নেওয়া যায়। এই খাবারটি প্রস্তুত করে একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে সুন্দরভাবে রাখা হয়। এবং এটি তৈরি করে প্রথমে ফ্রিজে রাখা হয় এরপর চুলায় গরম করা হয়।

হারিস তৈরি করতে গমের দানা, ভেড়া বা মুরগির মাংসের প্রয়োজন হয়। এতে যত বেশি মাংসের ব্যবহার হবে ততই তা সুস্বাদু হবে।

রমজানের ইফতারে এই খাবারটি আমিরাত, সৌদি আরবসহ জিসিসি (সৌদি আরবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদে ৬ দেশ, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত) - এর দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়।

সূত্র : খালিজ টাইমস

এনটি