ছবি : সংগৃহীত

ছোট ছোট খেজুর। ওপরে কালো রঙের আস্তরণ। দেখতে অনেকটা জামের মতো। কিন্তু অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও মানসম্পন্ন। আজওয়া নামের এ খেজুর মদিনার উৎকৃষ্টতম খেজুর। সে কারণে দামেও অন্য খেজুরের চেয়ে বেশি। হাদিস শরিফে খেজুরটির গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে এবং জান্নাতের ফল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজওয়া জান্নাতের, এতে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক রয়েছে...।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৬৬)

আজওয়া খেজুর রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল। আজওয়ার পুষ্টিগত উপকারিতা ও গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)

এটি হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য ভীষণ উপকারী। হাদিসের বর্ণনায় এটা বোঝা যায়। রাসুল (সা.) তার এক সাহাবিকে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সাদ (রা.) বর্ণনা করেন— 

সাদ (রা.) অন্য একটি বর্ণনা রয়েছে, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু-টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫-৫৭৬৮; মুসলিম, হাদিস : (২০৪৭)-১৫৫; আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৭৬)

আলি (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল, হাদিস : ২৮৪৭২; অনেকে বর্ণনাটি দুর্বল বলেছেন।)

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইবনু আয়্যুব ও ইবনু হিজর (রহ.)... আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মদিনার আলিয়া অঞ্চলের (উঁচু ভূমির) আজওয়া খেজুরে শেফা (রোগমুক্তি) রয়েছে। অথবা তিনি বলেছেনঃ প্রতিদিন সকালের এর আহার বিষনাশক (ঔষধের কাজ করে)।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫১৬৮)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল-আলিয়ার আজওয়া খেজুর খেয়েই সকালের উপবাস প্রথমে ভাঙলে তা (সর্বপ্রকার) যাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৯২)

এখানে আল-আলিয়া বলতে বোঝানো হয়- মদিনার পূর্বদিকের কয়েক মাইল দূরের কিছু গ্রামকে।

উরওয়া (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) পরপর সাতদিন সাতটি আজওয়া খেজুর খেয়ে সকালের উপবাস ভাঙার অথবা এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিতেন।’ (মুছান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ২৩৯৪৫)