প্রতীকী ছবি

আজান এবং ইকামত নামাজের জন্য গুরুত্ব বিষয়। ইসলামি বিধান মতে, জামাতে নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব, না দিলে অসুবিধা নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘যখন সালাতের সময় হয়, তখন তোমাদের একজন যেন আজান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করে।’ 

আতা রহ. বলেন, আমি আলী ইবনে হুসাইন রা.-এর সঙ্গে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা.-এর দরবারে প্রবেশ করলাম। তখন নামাজের সময় হয়ে গেলে, তিনি আজান ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস, ২২৮৪) 

আলী রা. বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি নির্জন মরুভূমির দিকে যাত্রা করে এবং পথিমধ্যে নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সে চাইলে আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ পড়তে পারবে। আর চাইলে সে শুধুমাত্র ইকামত দিয়েও নামাজ পড়তে পারবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস, ২২৮৪)

উকবা ইবনে আমির রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি—

‘তোমার রব সে ব্যক্তির ওপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরি চরায় এবং নামাজের জন্য আজান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ! নামাজের জন্য সে আজান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ১২০৩)

সাধারণত একামত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ শুরু করা হয়। তবে কোনো কারণে ইকামতের পর নামাজ শুরু হতে কিছুটা দেরি হলে সমস্যা নেই। এতে করে নামাজ হয়ে যাবে। তবে নিয়মিত এমন করা উচিত নয়। কারণ, ইকামতের পর নামাজ শুরু করতে বেশি দেরি হলে তা নামাজে মনোযোগ তৈরিতে বিঘ্নতা তৈরির কারণ হতে পারে। এবং কারণে মুসল্লি ভেতর বিরক্তি তৈরি হতে পারে। আর নামাজ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত তাই নামাজের সময় হয়ে যাওয়ার পর আজান ইকামত দিয়ে তা দ্রুত পড়ে নেওয়া উচিত।

(দুররুল মুখতার, ১/৪০০, আল বাহরুর রায়েক, ১/২৬৩)