প্রতীকী ছবি

নানাভাবে মানুষের গুনাহ হয়। হয়তো ছোট গুনাহ, না হয় কবিরা (বড়) গুনাহ। গুনাহ হলে অনুতপ্ত হওয়া ও আল্লাহর কাছে তাওবা করা— মুমিনের কাজ। তাই গুনাহ হলেই মুমিন বিচলিত হয়ে ওঠে।

সাধারণভাবে সব নেক কাজের মাধ্যমে কিছু না কিছু পাপমোচন হয়। সুরা হুদের ১১৪ নম্বর আয়াত থেকে এমনটা বোঝা যায়। এরপরও কোরআন ও হাদিসে গুনাহ মাফের মাধ্যম হিসেবে বিশেষ কিছু আমলের কথা এসেছে। তেমন কয়েকটি হলো—

এক. ভালোভাবে অজু করা

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অজু করে, তখন তার চেহারা ধোয়ার সময় পানির ফোঁটার সঙ্গে চোখের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। যখন হাত ধোয়া হয়, হাতের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। যখন পা ধোয়া হয় পানির ফোঁটার সঙ্গে পায়ের দ্বারা কৃত গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। এভাবে বান্দা গুনাহ থেকে একেবারে পবিত্র হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৪)

দুই. নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া

মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জামাতের নামাজ ঘরের বা বাজারের নামাজ অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি সওয়াবের। কেননা বান্দা যখন উত্তমরূপে অজু করে এবং একমাত্র নামাজের উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয় তো প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তার একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৭)

তিন. রুকু থেকে উঠে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ বলা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইমাম যখন রুকু থেকে উঠে বলে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ তখন তোমরা বলো, ‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ।’ কেননা যার তাহমিদ ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলবে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৯৬)

চার. রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত অবতীর্ণ করবেন। তার ১০টি গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১২৯৭)