জমজমের পানি বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করছেন মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস।

পবিত্র মসজিদুল হারামে জমজম পানি বিতরণে রোবট চালু করা হয়েছে। মসজিদে আগত মুসল্লি ও হজ-ওমরাহ পালনকারীদের সুরক্ষার জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে কারো সরাসরি সহয়তা ছাড়াই রোবটের মাধ্যমে জমজম পানি বিতরণ করা হবে।

রোববার (১৩ জুন) মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম ও খতিব ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস রোবটের মাধ্যমে পানি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির প্রেসিডেন্সি বিভাগীয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে শুরুর দিক থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহারের সাহায্যে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পবিত্র মসজিদুল হারাম জীবাণুমুক্ত রাখতে— এর আগে ১০টি অত্যাধুনিক রোবট চালু করা হয়। জানা গেছে, অত্যাধুনকি এ রোবটের সাহায্যে একাধারে ৫-৮ ঘণ্টা জীবাণুমুক্ত রাখার কাজ করা যাবে।

জমজম পানির ফজিলত ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

জমজম কূপ ইসলামের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মক্কার মসজিদুল হারামের ভেতরে এবং পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ৩৮ গজের দূরত্বে এই কূপের অবস্থান। জমজমের পানি নিয়ে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩)

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জমজমের পানি ভূপৃষ্ঠের সর্বোৎকৃষ্ট পানি। তা খাবার হিসেবে ক্ষুধা নিবারণ করে ও রোগ-ব্যাধী নিরাময়ে কাজ করে।’ (তাবারানি, হাদিস : ১১১৬৭)