ইসলামে সবসময় হালাল-হারামের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, হারাম পন্থায় উপার্জন করলে বরকত নষ্ট হয়ে যায়। যার উপার্জন হারাম তার সারা জীবনই ধ্বংসের মুখে। কারণ, তার খাবার-দাবার, পোশাক সবই হারাম উপার্জনের এমনকি সন্তান-সন্ততির শরীরও হারাম খাবারে পূর্ণ। এক কথায় তার পুরো জীবন প্রতিষ্ঠিত হারামের ওপর। এমন ব্যক্তি অঢেল সম্পদ উর্পাজন করলেও বরকত থেকে বঞ্চিত। আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত। 

তাই হালাল উপার্জনে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, এতে রয়েছে বরকত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে থাকে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস, ২৩১১)

হালাল রিজিক অনুসন্ধান করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অন্যান্য ফরজ কাজ আদায়ের সঙ্গে হালাল রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরজ।’ (বায়হাকী, হাদিস : ৪৬০)। 

কোরআন ও হাদিসের আলোকে নিজের জীবন সাজিয়ে হালালভাবে উপার্জন করা উচিত এবং অন্যকেও হালাল উপার্জনে উৎসাহিত করা উচিত। কেউ হালাল ছেড়ে হারাম উপার্জনের মাধ্যমে জীবনযাপন করলে তার সঙ্গে যথাসম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখা উচিত। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো কিছু গ্রহণ ও গভীর সম্পর্ক এড়িয়ে চলা কর্তব্য। 

ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, হারাম উপার্জন থেকে কেউ অন্যকে হাদিয়া বা গিফট দিলে তা গ্রহণ করা জায়েজ নেই। কাজেই কেউ হারাম উপার্জন থেকে গিফট দিলে তা কৌশলে এড়িয়ে চলতে হবে। 

আর কখনো না জেনে কারো হারাম উপার্জন থেকে দেওয়া গিফট গ্রহণ করে থাকলে জানার পর অথবা কারো দেওয়া গিফট নিয়ে মনে সন্দেহ থাকলে ওই গিফটের সমপরিমাণ মূল্য সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় গিফট নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

এনটি