প্রতীকী ছবি

কোরবানি আর্থিক ইবাদত। আল্লাহ তাআলা রাজি-সন্তুষ্টি করার জন্য ও ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত পালনের জন্য কোরবানি করা হয়। যারা সামর্থ্যবান, তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন।

কোরবানি কোন কোন দিন করা যায়?

ঈদুল আজহা মোট তিন দিন। সে হিসেবে কোরবানিও তিন দিন করা যায়। জিলহজে মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানির সময়। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (বা প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম। (মুয়াত্তা মালেক : ১৮৮; বাদায়িউস সানায়ি : ৪/১৯৮, ২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৫)

যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব, তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো অপারগতার দরুণ যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (বুখারি : ২/৮৩২; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)

যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব

জাকাত ও কোরবানির নিসাব একই। ফলে যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব। 

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী— যে কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা ওই পরিমাণ রুপার সমমূল্যের নগদ অর্থ অথবা বর্তমানে বসবাস ও খাবারের প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনাতিরিক্ত বাড়ি, ব্যাবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনাতিরিক্ত অন্য আসবাবপত্রের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (রাদ্দুল মুহতার : ৬/৬৫; মাবসুতে সারাখসি ১২/৮)

আর সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।