প্রতীকী ছবি

আমরা জানি যে, জোহরের ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজ রয়েছে। তাই এই চার রাকাত সুন্নত পড়া জরুরি। আর নিয়ম হিসেবে ফরজের আগেই পড়তে হবে। কিন্তু কেউ যদি ফরজের আগে সুন্নত না পড়ে— পরে পড়ে, তাহলে কি জায়েজ হবে?

জেনে রাখা উচিত যে, ফরজ পড়ার আগেই পড়তে হবে। তবে কখনো কোনো কারণে যদি জোহরের নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে জোহরের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে— আগের চার রাকাত সুন্নত আদায় করে নেওয়া কর্তব্য।

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নাতের এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে, কখনো যদি আগে পড়তে না পারতেন; তাহলে ফরজের পরে হলেও পড়ে নিতেন। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) যখন জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত পড়তে পারতেন না, তখন তিনি জোহরের পর তা পড়ে নিতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৪২৬)

জোহরের সুন্নত আদায়ের গুরুত্ব

রাসুল (সা.) এর অনেকগুলো হাদিস বর্ণিত হয়েছে— জোহরের নামাজের আগে-পরের সুন্নত আদায় সম্পর্কে। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) জোহরের আগে চার রাকাত সুন্নত ও জোহরের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়তেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১/৫৫০)

জোহরের সুন্নত আদায়ের সওয়াব ও ফজিলত

উম্মে হাবিবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জোহরের পূর্বে এবং পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, জাহান্নামের আগুন আল্লাহ তায়ালা তার ওপর হারাম করে দিবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১/৫৫৩)

আবু সুফিয়ান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বোন উম্মে হাবিবা (রা.) (প্রিয় নবীজীর সা. স্ত্রী)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘আমি স্বয়ং রাসুল (সা.) থেকে শুনেছি, তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি জোহরের নামাজের পূর্বের এবং পরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ এর পূর্ণ খেয়াল রাখবে (নিয়মিত আদায় করবে), মহান আল্লাহ তায়ালা তার থেকে জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১/৫৫৪)

ফজর ও জোহর নামাজের আগের সুন্নত নামাজ সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনই জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত সুন্নত ছাড়তেন না।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৮২)