নামাজ আদায়। ছবি : সংগৃহীত

ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুমিনের ওপর ফরজ। মানুষ যে যেখানে থাকুক না কেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা তার ওপর আবশ্যক। কোনো একজন ব্যক্তি অসুস্থ হলে কিংবা জ্বলে-স্থলের কোথাও কোনো অবস্থায় থাকলে, তিনি যেভাবে সক্ষম সেভাবে নামাজ আদায় করবেন।

এই ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

কেউ যদি নামাজরত থাকেন, তাহলে কোনো কারণে কি তিনি নামাজ ভাঙতে পারবেন? নামাজ চলাকালীন কোন কোন কারণে নামাজ ভাঙা যায়— এসব নিয়ে পাঠকদের জেনে রাখার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। 

♦  নামাজ আদায়কারীর জন্য কোনো শরিয়তসম্মত কোনো অপারগতা ছাড়া— নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ নেই। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩)

♦  কোনো ব্যক্তিকে তার মা-বাবা ডাকলে, তিনি নামাজ ভেঙে দিতে পারবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪/৪০৪)

♦  কোনো ব্যক্তি নামাজ আদায় করছেন, কিন্তু এমতাবস্থায় দেখলেন— কোনো অন্ধ কূপ অথবা কোনো গর্তের দিকে চলে যাচ্ছেন, আর তাতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে; তাহলে নামাজ ভেঙে দিতে পারবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৫)

♦  কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি যদি নামাজ আদায়কারীর প্রতি সাহায্যের আবেদন জানায় এবং চিৎকার করে তাকে ডাকে; আর যদি নামাজ আদায়কারী মনে করে— সে ওই ব্যক্তিকে জুলুম থেকে রক্ষা করতে পারবে, তাহলে নামাজ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৫)

♦  নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি কোনো চোরকে এক দিরহাম ন্যূনতম সমপরিমাণ মাল চুরি করতে দেখে, সে মাল নিজের বা অন্যের হোক নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪/৪১২)

♦  মুসাফির ব্যক্তি যদি চোরের ভয়ে শঙ্কিত হয়, তবে নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৩)